মাইগ্রেনঃ কী খাবেন, কী খাবেন না
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
আপনি হয়তো অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন। হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হলেন। কিংবা আপনি দীর্ঘ কর্মব্যস্ত দিনের পর বিশ্রাম নিতে চাইছেন। কিন্তু এক অসহ্য মাথা ব্যথায় আপনার বিশ্রামের আশা শিকেয় উঠল। যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় আক্রান্ত তারা এমন সব পরিস্থিতির সঙ্গে ভালোভাবেই পরিচিত।
মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত কপালের অর্ধেক অংশ জুড়ে হয় এবং এটি কয়েক ঘন্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথা আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। তাই মাইগ্রেন সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির এ ব্যথা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গেও কিন্তু মাইগ্রেনের ব্যথার সম্পর্ক রয়েছে। কিছু খাবার মাইগ্রেন প্রতিরোধে সাহায্য করে। আবার কিছু খাবার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
চলুন পরিচিত হওয়া যাক এই খাবারগুলোর সঙ্গে।
মাইগ্রেন প্রতিরোধে সাহায্য করবে যে খাবারগুলো –
১. ঢেকি ছাঁটা চালের ভাত, আলু ও বার্লির মতো ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার মাইগ্রেন প্রতিরোধ করে।
২. বিভিন্ন ফল মাইগ্রেন প্রতিরোধে খুব উপকারী। বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করে।
৩. মাইগ্রেনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের রান্না করা শাকসবজি নিয়মিত খাওয়া উচিত।
৪. ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমান ক্যালশিয়াম রয়েছে।
৫. আদার টুকরো, আদার রস বা জিঞ্চার পাউডার দিনে ২ বার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
৬. পানি, হার্বাল টি। হার্বাল টি এর মধ্যে বেছে নিতে পারেন গ্রিন টি, জিঞ্জার টি।
মাইগ্রেনের সমস্যায় যে সব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত –
১. চা, কফি ও কোমলপানীয়।
২. চকলেট, আইসক্রিম, মিষ্টি দই।
৩. ডেইরি প্রোডাক্ট। যেমন: দুধ, মাখন ইত্যাদি।
৪. গম জাতীয় খাবার। যেমন- রুটি, পাস্তা, ব্রেড ইত্যাদি।
৫. আপেল, পেঁয়াজ ও চিনাবাদাম।
৬. ডিম, মা।
৭. টমেটো ও সাইট্রাস জাতীয় ফল খাবেন না।
৮. ফলের মধ্যে বাদাম, পেঁয়াজ, আপেল ও কলা মাইগ্রেন সমস্যায় আক্রান্তরা না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া